স্টাফে রিপোর্টার।।
কুমিল্লার লাকসামে প্রেমিককে খুঁজতে গিয়ে এক তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এক অটোরিকশাচালক তরুণীর প্রেমিককে খুঁজতে সহায়তা করার কথা বলে তাকে কয়েকজন বখাটের হাতে তুলে দেন। পরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় তাকে।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে অভিযুক্ত অটোরিকশাচালকসহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ জুন) লাকসাম থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তরুণীর (২০) মামাতো ভাই। ওই মামলায় তিন জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো লাকসাম পৌর এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশাচালক এনায়েত রহমান ওরফে সাক্কু, সাগর ও স্বপন মিয়া। তারা ৯ জুন লাকসাম রেলওয়ে জংশনের দক্ষিণ পাশের একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরে তুলে নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী পাশের মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি লাকসামের একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।
মামলা ও ভুক্তভোগী তরুণীর বরাত দিয়ে ওসি নাজনীন সুলতানা জানান, ওই তরুণীর সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। কয়েক দিন ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় ৮ জুন তরুণী প্রেমিককে খুঁজতে লাকসাম বাজারে যান। সেখানে অটোরিকশাচালক এনায়েত রহমানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এনায়েত লাকসাম শহরে প্রেমিককে খুঁজে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। খোঁজাখুঁজির পর না পেলে ওই দিন রাত ১০টার দিকে তরুণী লাকসাম রেলওয়ে জংশনের দক্ষিণ পাশে প্ল্যাটফর্মে গিয়ে বসেন। তখন রেলস্টেশনের কিছু বখাটে উত্ত্যক্ত করতে থাকলে এনায়েত তাকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেয়। এরপর বখাটেরা তাদের দুজনকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত স্টেশনে বসিয়ে রাখে। এর মধ্যে এনায়েত ওই তরুণীকে স্ত্রী নয় বলে বখাটেদের হাতে তুলে দিতে চায়। একপর্যায়ে বখাটেদের সঙ্গে যোগসাজশ করে রেলস্টেশন থেকে মারতে মারতে রেললাইনের পূর্ব পাশের পরিত্যক্ত একটি টিনের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে এনায়েতের সহায়তায় খোরশেদ, সাগর ও স্বপন তাকে ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগী রেললাইন পার হয়ে একটি অটোতে করে কর্মস্থলে যান। সর্বশেষ পরিবারের সহায়তায় সোমবার রাতে থানায় এসে বিষয়টি বিস্তারিত জানান।
ওসি নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে রাতে অভিযান চালিয়ে এনায়েত, সাগর ও স্বপনকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত অন্য ব্যক্তিকে ধরার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তিন জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া ভুক্তভোগীকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page